আলটিমেট গ্রাফিক ডিজাইন ক্যারিয়ার গাইড | Pixency Academy
December 5, 2021 2022-01-02 13:34আলটিমেট গ্রাফিক ডিজাইন ক্যারিয়ার গাইড | Pixency Academy
যারা বর্তমানে Graphics Design Course করছেন অথবা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন কে প্রফেশনালি নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান, আজকের এই পোস্টটা মূলত তাদের জন্য।
এমন অনেকেই আছেন, যারা বিভিন্ন Graphic Design Course এ ভর্তি হন, ক্লাস করেন কিন্তু সঠিক ইন্সট্রাক্টর বা ভালোভাবে সাপোর্ট না পাওয়ার ফলে যখন গ্রাফিক্স ডিজাইন কোরে ইনকাম করতে পারেন না, তখন হতাশ হয়ে পড়েন। বর্তমান সময়ে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারের ডিমান্ড প্রচুর। শুধু ফ্রিল্যান্সিংই নয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে বিভিন্ন সরকারি অথবা বেসরকারি কোম্পানিতেও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরী করতে পারেন। কিন্তু এর আগে আপনাকে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
নিজে আমরা এমন ১০টি Step সম্পর্কে জানবো, যেগুলো কেউ যদি অনুসরণ করে, তাহলে আশা করা যায় যে, সে নিজেকে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে।
Table of Contents
১. প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স বাছাই করাঃ
যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে ইচ্ছুক তাদের উচিৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে ভালোভাবে খোজখবর নেয়া। যেমনঃ সেই কোর্সের মেন্টর কে, তাদের বিয়েল ক্লায়েন্ট বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভালো অভিজ্ঞতা আছে কি না, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য তাঁর নিজের কি কি রিসোর্স লাগবে সেগুলো সব আছে কি না, Graphic Design Course করার সময়ে কোন প্রবলেমে পড়লে সে ঠিকমতো সাপোর্ট পাবে কি না ইত্যাদি বিষয়ে খোজখবর নিয়ে ভর্তি হওয়া উচিৎ। আরেকটা বিষয় হলো গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার শেখা আর গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা দুইটা আলাদা বিষয়। এমন অনেক গ্রাফিক ডিজাইন ট্রেনিং সেন্টার আছে যারা শুধু গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার শেখায় কিন্তু সেই মেন্টরের Graphic Design Jobs এ কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে সে স্টুডেন্টদের ডিজাইন শেখাতে পারে না। যার ফলে স্টুডেন্টদের ভিতর Design Concept Develop হয় না। ফলশ্রুতিতে স্টুডেন্টদের ভিতর আস্তে আস্তে ভীতি জন্মায়। তাই কোন গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে খোজখবর নেয়া উচিৎ।
২. সিরিয়াসলি হোমওয়ার্ক করাঃ
আপনি যখন কোন Graphics Design Course এ ভর্তি হবেন, আপনার তখনকার সময়টা হলো শেখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই এইসময়ে আপনাকে যে হোমওয়ার্কগুলো গ্রাফিক ডিজাইন মেন্টর যেভাবে করতে বলবে অবশ্যই সেইভাবেই করবেন, আপনার ইচ্ছামতন করবেন না। মেন্টর যদি বলে ডিজাইন কপি করুন, তাইলে তাই করুন, নিজের থেকে কিছু করবেন না। মোটকথা হোমওয়ার্ক গুলো অবশ্যই ভালোভাবে করবেন।
৩. অন্যের থেকে নিজের ডিজাইনের ফিডব্যাক নেয়াঃ
আপনি যখন প্রথম প্রথম ডিজাইন করবেন, তখন আপনার ডিজাইনে অনেক ভূল হবে এবং এগুলো খুবই স্বাভাবিক। আপনার কাজ হলো – আপনি আপনার ডিজাইন অন্য কাউকে দেখাবেন এবং সেগুলোতে কি কি চেঞ্জ করা লাগবে তা জানতে চাইবেন। যেমন আপনি আপনার ডিজাইন বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও পোস্ট কোরে ফিডব্যাক নিতে পারেন। আপনি চাইলে Pixency.com এর ফেসবুক গ্রুপ Pixency Community তে পোস্ট করেও ডিজাইনের ফিডব্যাক নিতে পারেন।
৪. পোর্টফলিও বিল্ডাপ করাঃ
অন্যরা যখন আপনার ডিজাইনকে ভালো বলা শুরু করবে তখন আপনি আপনার ডিজাইনগুলো Behance, Dribbble পোর্টফলিওতে রাখবেন। কারণ, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অবশ্যই পোর্টফিলিও থাকা উচিৎ যার মাধ্যমে আপনি অন্য কাউকে আপনার ডিজাইন কোয়ালিটি দেখাতে পারেন। আবার এমন অনেক ক্লায়েন্ট আছে, যারা Professional Graphics Designer হায়ার করার আগে পোর্টফলিও দেখতে চায়, আপনি যদি আগেই পোর্টফলিও রেডি করে রাখেন তাহলে সেই ক্লায়েন্টের কাজ পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
৫. ভলেন্টারি কাজ করাঃ
আপনার ডিজাইন যখন ভালো হওয়া শুরু করবে তখন আপনি বিভিন্ন ভলেন্টারি কাজ করতে পারেন। যেমনঃ আপনার স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার বা ফেসবুক কভার ডিজাইন করবেন। পাশাপাশি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবের বিভিন্ন ছবি এডিট করবেন বা বিভিন্ন Non Profit Organization এর ডিজাইনের কাজ গুলো করে দিতে পারেন। এতে কোরে গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিলও বাড়বে এবং আপনি অন্যদের মাঝে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে পরিচিতিও লাভ করতে পারবেন।
৬. ইন্টার্নশিপ করাঃ
নিজে নিজে একটা জিনিস ডিজাইন করা আর ক্লায়েন্টের রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী ডিজাইন করা, দুইটা ভিন্ন বিষয়। আপনারা যারা নিজেকে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দেখতে চান, তাদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার আগে কোন কোম্পানিতে বা ইন্সটিটিউটে ইন্টার্নশীপ করা উচিৎ। কারণ, ইন্টার্নশীপ করার মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টের রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী ডিজাইন তৈরী করতে পারবেন এবং সিনিয়রদের কাছ থেকে আপনার কাজের ব্যাপারে অনেক সাজেশন পাবেন। যা আপনার গ্রাফিক ডিজাইন স্কিলকে কম সময়ে অনেক বেশি ইম্প্রুভ করবে।
৭. ফ্রিল্যান্সিং করাঃ
আপনি যখন রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী ডিজাইন করার স্কিল অর্জন করবেন , এরপর আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। কারণ, এখন আর আপনার ক্লায়েন্টের রিকোয়ার্মেন্ট বুঝে ডিজাইন করতে সমস্যা হবে না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো freelancer.com, fiverr.com, upwork.com তবে অবশ্যই এসব মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলার আগে মার্কেটপ্লেসের নিয়ম কানুন ভালো করে জেনে নিবেন।
৮. প্যাসিভ মার্কেটে কাজ করাঃ
শুধু ফ্রিল্যান্সিং ই নয়, গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি প্যাসিভ মার্কেটেও গ্রাফিক ডিজাইনের বিভিন্ন ফাইল জমা দিয়ে ইনকাম করতে পারে। প্যাসিভ মার্কেট নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন।
৯. ডিজাইন কমিউনিটিতে নিজের কন্ট্রিবিউশন বাড়ানোঃ
ডিজাইনে ভালো করার আরেকটি উপায় হলো – বেশি বেশি ডিজাইন দেখা, সেগুলো নিয়ে Analysis করা এবং অন্যের ডিজাইনে ফিডব্যাক দেয়া। ফেসবুকে এমন অনেক গ্রুপ আছে যেখানে সবাই তাদের ডিজাইন গুলো শেয়ার করে। আপনি চাইলে সেগুলোতে ফিডব্যাক দিতে পারেন। আর এই ফিডব্যাক দিতে দিতেই ডিজাইন কমিউনিটিতে আপনার পরিচিতি বাড়বে। হতে পারে আপনার পরিচিত কারো যদি Graphic Design Job এর Vacancy থাকে তাহলে সে আপনারকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনাকেই নক দিবে। কারণ, ডিজাইন কমিউনিটিতে আপনার ভালো পরিচিতি আছে এবং আপনার ডিজাইন পোর্টফলিও আছে।
১০. জুনিয়র ডিজাইনার হিসেবে জব করাঃ
এখন আপনি কোন Graphic Design Job এ প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত কারণ আপনি পূর্বে ডিজাইনের অনেক কাজ করেছেন যা গ্রাফিক্স ডিজাইনার থাকাকালীন আপনার জন্য দরকারী। Graphic Design Job এ থাকাকালীন আপনার কাজ হবে অফিসের কাজগুলো আন্তরিকতার সাথে ভালোভাবে করা। পাশাপাশি Graphic Design Trend এবং বর্তমান সময়ে আসলে কোন কাজগুলো ক্লায়েন্ট কেমন চাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আপডেট থাকা। এরজন্য আপনি আমাদের Pixency Academy এর ব্লগ পড়তে পারেন এবং Pixency Academy Youtube channel নজর রাখতে পারেন। পাশাপাশি আপনি অন্যসব চ্যানেল এবং ব্লগ গুলোতেও আপডেট থাকবেন।
অতএব, আমরা বুঝতে পারলাম, শুরু গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সই নয়, গ্রাফিক ডিজাইনে সফল হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই আরো কিছু কাজ করা উচিৎ। যার মাধ্যমে আমরা নিজেকে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারে সফল হতে পারব।
আপনার যদি মনে হয়, আপনি Graphics Design Course অথবা UI/UX Design Course বাংলায় করবেন, তাহলে আপনার জন্য Pixency Academy হতে পারে একটা পারফেক্ট ট্রেনিং সেন্টার। কারণ, Graphics Design Course অথবা UI/UX Design Course করার জন্য বাংলাদেশে পিক্সেন্সী একাডেমী প্রথম সারির একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টরা এখন দেশি এবং বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিতে সুনামের সাথে কাজ করছে, আপনি একটু খোঁজখবর নিলেই জানতে পারবেন।
আর আপনাকে শুধু সফটওয়ার শিখলেই হবে না, আপনাকে বুঝতে হবে, জানতে হবে – আপনার ডিজাইনের মাধ্যমে টারগেট কাস্টমারের কাছে কিভাবে আরো সহজে এবং আকর্ষনীয় ভাবে ইনফরমেশন পৌছানো যায়। সফটওয়ার শেখা আর ডিজাইন শেখা দুইটার মধ্যে পার্থক্য অনেক। আপনি যদি ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হন, তাহলে আপনার সময় এবং টাকা দুইটাই নষ্ট হবে। এবং আপনার মধ্যে এই সেক্টর সম্পর্কে অনেক ভীতি জন্মাবে।
Pixency Academy আপনাকে বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিক্স দেয়ার মাধ্যমে সাহায্য করবে। পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন রিসোর্স, অলটাইম সাপোর্ট পাবেন। আর ডিজাইন কিভাবে উন্নতি করা যায় বা আপনার প্রভলেম নিয়ে রেগুলার মিটিং এ বিস্তারিত কথা বলতে পারবেন।
Pixency Academy এর ক্লাস ভিডিও দেখতে চাইলে এখানে ভিজিট করুন – Pixency Academy Class
বর্তমানে Pixency Academy এর স্টুডেন্টরা কিভাবে কাজ করছে তা জানার জন্য তাদের ফেসবুক গ্রুপের পোস্টগুলো দেখুন। ফেসবুক গ্রুপ লিংক – Pixency Community.